ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা - ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ এই পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আমরা অনেকেই জানিনা আমরা যে ভাবটি খেয়ে থাকি তার জলে কতটুকু পুষ্টি উপাদান থাকে সে বিষয়ে। চলুন আজকে জেনে নেই।

ভাতের-মাড়ের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আমরা আরো জানবো ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে যেগুলো জানার প্রয়োজন অনেক। চাল সেদ্ধ করার পর মূলত ভাত হয় আর সেই ভাতের অবশিষ্ট জল থেকে যায় আর সেই জলের মাধ্যমে ভাতের মারের সৃষ্টি হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা - ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় 

ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা

ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই। ভাতের মাড় একটি সহজলভ্য অল্প খরচের পুষ্টিকর পানীয় উপাদান। আমরা বাঙালি আর বাঙ্গালীদের প্রিয় খাদ্য রয়েছে অসংখ্য। তবে তার জন্য দরকার ভাত কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ভারতের মাড় খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। মূলত আমরা ভাত রান্না করে থাকি এবং সেই ভাতের রান্না করা অবশিষ্ট জল থেকে যায় আর সেই জল আমার নামে পরিচিত। 

মাড়ে কি রয়েছে বা ভাতের মাড় খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব বিস্তারিত। গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ ভাতের মাড় খেয়ে থাকেন। গ্রাম বাংলায় এটি একটি প্রাচীন প্রচলিত পানীয় এবং অনেক সময় এটি খাবার হিসেবে বা পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভাতের মাড়ে ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটি শরীরে দ্রুত এনার্জি যোগাতে সাহায্য করে তবে  বিশেষত যারা দুর্বলতা অনুভব করেন তাদের জন্য এটি খুব উপকারী।

পুষ্টি উপাদানঃ ভাতের মাড়ে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা আপনার শক্তি যোগাতে সহায়তা করে। ভাতের মাড়ে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা আপনার স্নায়ুতন্ত্রের স্নায়ুর কার্যকরিতা ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এছাড়া ভাতের মাড়ে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম যা আমাদের শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হজম প্রক্রিয়ায় সহায়কঃ হজম প্রক্রিয়ার সহায়তা করে যেভাবে আপনার যদি এসিডিটির বা বদহজমের সমস্যা হয় তাহলে ভাতের মাড় খেলে দ্রুত নিরাময় হয়। অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং সহজেই হজমে সাহায্য করে। ভাতের মাড়ে প্রাকৃতিক স্টার্চ থাকায় এটি অন্ত্রে লুব্রিকেশন সৃষ্টি করে। হজমের জন্য ভাতের মাড় অনেক ভালো একটি পানীয় খাদ্য।

বাচ্চাদের ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বাচ্চাদের ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত জানবো। ভাতের মাড় বাচ্চাদের জন্য সহজপাচ্য এবং হালকা খাবার। এটি খেলে বাচ্চাদের হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে যা বড় রকমের এসিডিটির হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। প্রাচীনকাল থেকেই এটি বাচ্চাদের জন্য হজম প্রক্রিয়ায় বিশেষ সহায়ক হিসেবে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো হয়ে আসছে। তবে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোর আগে অবশ্যই এটির উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে একটি সঠিক যাচাই করা দরকার চলুন জেনে নিই ভাতের মাড় খেলে আপনার সন্তানের কি উপকারে আসতে পারে সে সম্পর্কে।

বাচ্চাদের ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা

  • সহজ হজম যোগ্য বাচ্চাদের জন্য এটি খুব কার্যকারিতা ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • যারা কঠিন খাবার হজম করতে পারে না তাদের জন্য ভাতের মাড় একটি উপকারী খাদ্য।
  • ভাতের মাড় দ্রুত কার্বোহাইড্র এনার্জি সরবরাহ করে যার ফলে দুর্বল বাচ্চাদের জন্য খুব উপকারী একটি পানীয় খাদ্য।
  • ডায়রিয়া হলে বাচ্চাদেরকে অবশ্যই ভাতের মাড় খাওয়াতে হবে। কারণ ভাতের মাড়ে থাকা জলের ঘাটতি এবং লবণের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে যার ফলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি আশা মেলে।
  • ভাতের মাড়ে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, সামান্য পরিমাণ প্রোটিন এবং খনিস পদার্থ থাকে যা বাচ্চাদের শারীরিক গঠনে সহায়তা করে।
  • ভাতের মাড়ে কোন প্রকার এলার্জি জনিত সমস্যা হয় না যার ফলে সব বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
  • এছাড়াও ভাতের মাড় ওজন বাড়াতে বিশেষ ভাবে কার্যকারিতা ভূমিকা পালন করে। কম ওজন শিশুদের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য।
বাচ্চাদের ভাতের মাড় খাওয়ার অপকারিতা

  • পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে ভাতের মাড়ে। পর্যাপ্ত পুষ্টি থাকে না এই খাবারটিতে যার ফলে হতে পারে আপনার বাচ্চার পুষ্টিহীনতা। এক কথায় বলা যেতে পারে ধাতের মাড়কে পুষ্টির জন্য ধনী বলা হয় না কারণ এতে শুধু কার্বোহাইড্রেটের উৎস থাকে। প্রোটিন এবং ফ্যাট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি নেই বললেই চলে।
  • এতে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা যার জন্য আপনার বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আপনি যদি রান্নার ক্ষেত্রে ভাত বা চাল সিদ্ধ করার আগে তো করে ধুয়ে না নেন তাহলে বাচ্চাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এতে থাকা রোগ জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে সারা শরীরে।

কখন বাচ্চাদের ভাতের মাড় খাওয়ানো নিরাপদ

কখন বাচ্চাদের ভাতের মাড় খাওয়ানো নিরাপদ সে সম্পর্কে চলুন জেনে নিই। মূলত ৬ মাস বয়স পর এটি খাওয়ানো ডাক্তার মতে সম্মত। ছয় মাস আগে মুহূর্ত পর্যন্ত আপনার বাচ্চাকে অবশ্যই মায়ের দুধ খাওয়ানো দরকার এর পাশাপাশি ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো যেতে পারে তবে ভাতের মাড় নয়। তবে ছয় মাস পর ভাতের মাড় সম্পূরক খাদ্য হিসেবে খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা জনিত সমস্যায় আপনি আপনার বাচ্চাকে ভাতের মাড় খাওয়াতে পারেন।

তবে খেয়াল রাখতে হবে ঠিকমতো লবণ এবং চিনি মিশিয়ে ওরাল সলিউশনের বিকল্প হিসেবে খাওয়াতে হবে।এছাড়া আপনার বাচ্চা যখন অসুস্থ থাকে বা শক্ত খাবার খেতে চায় না তখন সে আপনি ভাতের মাড় খাওয়াতে পারেন। বিশেষ করে বাচ্চাদের যখন হজমে সমস্যা হয় তখনও ভাতের মাড়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা অনেক। গর্ভাবস্থা একটি বিশেষ সময়কাল যেখানে মা এবং শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাতের মাড় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ভাতের মাড় গর্ভাবস্থায় শারীরিক চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে। চলুন আরো জেনে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য যেগুলো আপনার কাজে দিতে পারে।

পুষ্টি সরবরাহ

গর্ভাবস্থায় পুষ্টির উপাদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়ক। ভাতের মাড়ে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা আপনার শরীরের শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই খাবারটি। এছাড়াও ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখতে ভাতের মাড়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম বিশেষ কোন সম্পন্ন ভূমিকা পালন করে থাকে যা এ সময় গুরুত্বপূর্ণ।

হজমের জন্য

গর্ভাবস্থায় হজমের সমস্যা যেমন বদহজম গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি খুব সাধারণ। ভাতের মাড় একটি হালকা ও সহজপাচ্য পানীয় হওয়ায় এটি এই সমস্যাগুলো কমাতে সাহায্য করে। এই খাবারটি গর্ভাবস্থায় পেটের পোশান্তি ফিরিয়ে আনে এবং বদ হজমে জাতীয় সমস্যা দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে। অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে যা হজম প্রক্রিয়াকে সুগম করে।

ডিহাইড্রেশন রোধ

গর্ভাবস্থায় জলের চাহিদা প্রচন্ড পরিমানের বেড়ে যায়। ভাতের মাড় এই অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণের জল সরবরাহ করে থাকে। ওরাল রিহাইড্রেশন যা গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া বা বমির সময় শরীর থেকে হারানো জল ও ইলেকট্রোলাইট পূরণে কার্যকর। গরমকালে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কর্মদক্ষতার পরিচয় দেয় এই খাবার।

গর্ভাবস্থায় চুল এবং ত্বকের জন্য

গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে ত্বক ও চুলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভাতের মার এই সমস্যাগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে। গর্ভাবস্থায় হাতের মাড় ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বক মসৃণ করে। এছাড়াও চুলের তড়িৎ বৃদ্ধি এবং চুল শক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে

ওজন নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভাবে খাদ্যটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া অনেক মহিলার জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। ভাতের মাড় খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি যার জন্য অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করার প্রবণতা কমে যায়। প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাতে সাহায্য করে যার ফলে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় ? ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে তবে এটি নির্ভর করে কতটা এবং কীভাবে এটি খাওয়া হচ্ছে তার উপর। ভাতের মাড়ে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং এটি আমাদের শরীরের শক্তি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে তা ফ্যাট হিসেবে জমা হতে পারে এবং ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের শরীরের চর্বি জমাতে সাহায্য করে এবং মোটা করে। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বেশি পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করে শরীর এবং এর ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা

ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা আসলে ভাতের মাড় ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপাদান হিসেবে পরিচিত। এতে উপস্থিত ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে যত্নে ভাতের মাড়ের উপকার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত সব তথ্য জেনে নেই চলুন।

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • তবে আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • র‌্যাশ এবং প্রদাহ কমায়।
  • ফাইন লাইন এবং বলি রেখা কমায়।
  • ব্রণের দাগ এবং কালো দাগ দূর করে।
  • সানবার্ন বা রোদে পড়া উপশম করে।
  • ত্বকে থাকা ছিদ্র পরিষ্কার করে।
  • টোনার হিসেবে কাজ করে।

ত্বকে ভাতের মাড় ব্যবহার করার উপায়

ত্বকে ভাতের মাড় ব্যবহার করার উপায় গুলো এক নজরে জেনে নিই চলুন। তাই অনেক ভাবে ব্যবহার করা যায় এই ভাতের মাড়কে। ত্বকের যত্নে এটি একটি কার্যকরী উপাদান। এটি একটি প্রাকৃতিক এবং সবচেয়ে সাশ্রয় একটি পদ্ধতি। এটি অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করতে পারেন চলুন ব্যবহারটি একবার জেনে নিই।

সরাসরি প্রয়োগ করাঃ ভাত সেদ্ধ করার পর মাড় ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। এরপর একটি তুলার বলে মাড় নিয়ে পরিষ্কার ত্বকে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

টোনার হিসেবে ব্যবহারঃ টোনার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ভাতের মাড় একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। প্রতিদিন ত্বকে স্প্রে করুন বা তুলা দিয়ে লাগান। প্রতিদিন এটি লাগালে অবশ্যই সুফল পাবেন।

ফেসপ্যাক তৈরিঃ ভাতের মাড় দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করাটা একদম প্রাকৃতিক উপায়। ভাতের মাড়ের সাথে মুলতানি মাটি বা বেসন মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে শুকানোর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

রোদে পোড়া ত্বকেঃ রোদে পোড়া ত্বকের জন্য তুলো বা নরম কাপড় ভাতের মাড়ে ভিজিয়ে পোড়া ত্বকে লাগান। এটি ত্বককে শীতল রাখবে এবং নিরাময় ত্বরান্বিত করবে। ভালো সুফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত লাগাতে পারে।

ভাতের মাড় দিয়ে নাইট ক্রিম

ভাতের মাড় দিয়ে নাইট ক্রিম ভাতের মাড় দিয়ে তৈরি প্রাকৃতিক নাইট ক্রিম ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকর। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা, দাগ হালকা করা এবং ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য জনপ্রিয়। ভাতের মাড়ে উপস্থিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এবং খনিজ উপাদান ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে থাকে। ভাতের মাড় দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরি করার কৌশলটি চলুন জেনে নিই।

  • ভাতের মাড় - ২ টেবিল চামচ অবশ্যই ঠান্ডা হতে হবে
  • এলোভেরা জেল - ১ টেবিল চামচ
  • নারকেল তেল অথবা বাদাম তেল -১ চামচ
  • গোলাপজল -১ চামচ
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি
নাইট ক্রিম প্রস্তুত প্রণালী

  • ভাত সিদ্ধ করার আগে অতিরিক্ত পরিমাণে জল রাখুন।
  • ভাত থেকে মাড় ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করতে দিন।
  • একটি পাত্রে ভাতের মাড় নিন।
  • এর সাথে নারকেল তেল অথবা বাদাম তেল এছাড়া গোলাপ জল মিশেয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে ঘন ক্রিমের মত করুন।
  • আপনার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলে অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল এতে যোগ করুন।

  • একটি ফ্রিজে রেখে ৪- ৮ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম

ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম ভাতের মাড় চুলের যত্নে একটি প্রাচীন এবং কার্যকর পদ্ধতি। এতে উপস্থিত ভিটামিন বি, সি, এবং ই, মিনারেল, এবং অ্যামিনো অ্যাসিড চুল মজবুত, মসৃণ, এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। ভাতের মাড়ের ইনোসিটল নামে একটি যৌগ চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এতে থাকা প্রোটিন চুলের কাঠামোকে শক্তিশালী করে এবং ভঙ্গুরতা কমায়।ভাতের মাড় চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। এটি চুলকে কোমল ও ঝলমলে করে।ভাতের মাড়ে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে, যা খুশকি ও স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমায়। চুলের প্রান্ত ফাটার প্রবণতা কমায় এবং রুক্ষ চুলকে মসৃণ করে।

  • ভাতের মাড় এক কাপ।
  • প্রয়োজন মত জল।
  • একটি স্প্রে বোতল নিন।
চুলে দেওয়ার পদ্ধতি

  • প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিন।
  • স্প্রে বোতলে ভরা মাড় ভালোভাবে চুলের গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত স্প্রে করুন।
  • স্প্রে বোতল যদি না থাকে তাহলে হাত দিয়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।
  • ৫-১০ মিনিট মাসাজ করুন ভালোভাবে।
  • এদের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং দ্রুত পুষ্টিগুণ ছড়িয়ে পড়ে।
  • ১৫-২০ রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন।
  • সাধারণ চুলে সপ্তাহের ২ বার ব্যবহার করুন আর শুষ্ক চুল সপ্তাহে ৪ বার ব্যবহার করুন।

ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক

ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক ভাতের মাড় একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা চুল এবং ত্বকের জন্য অনেক উপকারি হতে পারে তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও থাকতে পারে যদি এটি অতিরিক্ত বা ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়। ভাতের মাড়ে প্রোটিন এবং স্টার্চের পরিমাণ বেশি থাকে। অতিরিক্ত ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং ফাটা প্রান্ত তৈরি হতে পারে। ত্বকের জন্যও অতিরিক্ত ব্যবহার শুষ্কতা বৃদ্ধি করতে পারে বিশেষ করে যদি আপনার ত্বক ইতিমধ্যে শুষ্ক হয়ে থাকে।

  1. অতিরিক্ত শুষ্কতা বা রুক্ষতা হতে পারে।
  2. এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
  3. ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে।
  4. চুলে অতিরিক্ত স্টাশ জমা হয়।
  5. অতিরিক্ত ব্যবহারে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন হতে পারে।
  6. বেশি ব্যবহারে বা সরাসরি ব্যবহারে গন্ধ হতে পারে।

শেষ কথাঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা

ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। এ পোস্টটিতে বলা হয়েছে আরো কিভাবে কোন পর্যায়ে এবং কতটুকু গ্রহণ করলে খাবারটি হতে পারে আপনার কাছে ভালো। কোন পর্যায়ে হাতের মাল খেলে আপনার শরীরের জন্য উপকারী এবং অপকারী হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতক্ষণ আমার সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউট ফাইবারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url