শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় - স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় এবং তাঁক সুন্দর করার ট্রিকস সম্পর্কে সবাই জানতে চায়। আমাদের ত্বক অনেক পাতলা এবং মসৃণ হয়ে থাকে। আসলে অনেকের জন্মগতভাবেই ত্বকের রং হয়ে থাকে আবার অনেকের পরবর্তীতে ত্বক শ্যামলা বা কালো হয়ে যায়।

শ্যামলা-ত্বক-ফর্সা-করার-উপায়

শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে সবাই জানতে চায় কিন্তু হয়তোবা তেমন ভালো তথ্য কেউ দিতে পারে না। আজ আমি আপনাদেরকে এই ব্লগ পোস্টটিতে কিভাবে শ্যামলা ত্বক ফর্সা করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত যথেষ্ট আলোচনা করা হবে। 

পেজ সূচিপত্রঃ শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় -স্থায়ী ফর্সা হওয়ার টিপস এন্ড ট্রিকস

 শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় 

শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় কি ? এমন প্রশ্ন সবার মনে থেকে যায় তো চলুন আজকে জেনে নেব আপনার প্রাকৃতিকভাবে শ্যামলা ত্বককে ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে। প্রাকৃতিকভাবেই আপনার ত্বক যদি শ্যামলা হয়ে থাকে তাহলে আপনার ত্বক পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন নিতে হবে। আসলে আমরা মনে করি আমাদের ত্বক অল্প পরিমাণ যত্ন নিলেই হয় কিন্তু এই ধারণাটাই একদম ভুল কারণ আমাদের ত্বক একদম পাতলা এবং মসৃণ এর জন্য যথাযথ যত্ন নিতে হবে আমাদের ত্বক।

কালো ত্বক বা শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যথাযথ অনেক প্রয়োজন। মনে রাখবেন শ্যামলা ত্বক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি বড় অংশ। আর এই সৌন্দর্যকে আরো উজ্জ্বল এবং মসৃণ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে অবলম্বন করতে হবে ঘরোয়া উপায়। ভারী কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার থেকে সবসময় দূরে থাকতে হবে কারণ আপনার ত্বকেকে ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নিই স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় - ঘরোয়া টিপস

ত্বক পরিষ্কার রাখাঃ আমাদের প্রথম কাজ হবে নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং ত্বককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। অন্ততপক্ষে প্রতিদিন ২-৩ বার সকাল এবং রাত্রে ত্বক পরিষ্কার করা। প্রতিদিন ত্বক ধুলে ক্ষতিকর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন থাকে।

ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহারঃ আমাদের ত্বক অনেক সেনসিটিভ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে একটি এর জন্য আমাদেরকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভালো ধরনের বা ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার করা। এতে করে আমাদের ত্বক সুন্দর এবং উজ্জ্বল থাকবে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণঃ শুধু ত্বক পরিষ্কার এবং ভালো ধরনের মশারাইজার ব্যবহার করলেই হবে না পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেহে যে পরিমাণ শক্তি থাকে তার মূল উদ্দেশ্য ঠিকমতো খাদ্য গ্রহণ করা। সব সময় চেষ্টা করবেন পুষ্টিকর এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার। এর সঙ্গে ফ্যাট যুক্ত খাদ্য পরিহার করার।

পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম পাড়াঃ পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম পাড়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর ভালো অভ্যাস। আপনার ত্বকের জন্য ঠিক মত ঘুম পারাটা হতে পারে ত্বকের যত্ন নেওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয়

কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় চলুন সে সম্পর্কে আজকে আরো অনেক বিস্তারিত জেনে নেই। মূলত আমাদের ত্বকে কোন নির্ধারিত রং বদলায় না এছাড়াও গায়ের রং প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত হয়ে থাকে। আমাদের জিনগত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে কে ফর্সা হবে বা কে শ্যামলা হবে তা নির্ধারণ করে থাকে আমাদের দেহ। আর সেই দেহকে সুস্থ এবং সবল রাখলে আমাদের ত্বকের উপরেও সৌন্দর্যের আবির্ভাব পরে।

তাকে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যজ্জল রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের কিছু খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যা আমাদের ত্বককে মসৃণ এবং সুন্দর করে তুলবে। খাদ্য আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চলুন আজকে বিস্তারিত জেনে নেই কি খেলে গায়ের রং দ্রুত ফর্সা এবং স্বাস্থ্যজ্জল করা যায়।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের দেহের জন্য বা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী একটি খাদ্য। ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের কোলাজান উপাদান বাড়ায় এবং দাগ ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। সাধারণত ভিটামিন সি পাওয়া যায় লেবু, আনারস, কমলা, স্ট্রবেরিতে এছাড়াও সবজির মধ্যে রয়েছে টমেটো,ব্রকলি,ক্যাপসিকামে।

ভিটামিন এ যুক্ত খাদ্যঃ ভিটামিন এ যুক্ত খাদ্য গ্রহণে আমাদের নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফল এবং সবজি উভয়তে ভিটামিনের আভাস দেখা যায় গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপেতে ভিটামিন এ থাকে এছাড়াও দুধেও ভিটামিন এ বিদ্যমান। ভিটামিন এ ত্বকের ক্ষতিসাধন থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান খাবারঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এমন খাদ্য গ্রহণে আমাদের ত্বক স্বাস্থ্যবান এবং উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মূল বৈশিষ্ট্য হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের ফ্রিজ রেডিক্যাল প্রতিরোধ করে। ফলের মধ্যে রয়েছে আঙ্গুর, জাম, ডালিম এছাড়াও সবজির মধ্যে রয়েছে পালং শাক, বিট, ব্রকলি।

ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিডঃ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ত্বককে মসৃণ  এবং আদ্র রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিড আছে এমন খাদ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক মাছ (স্যামন বা টুনা মাছ) চিয়া সিড, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিডে। 

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় অবলম্বনের জন্য সঠিক খাদ্যভাস এবং কিছু ঘরোয়া নিয়ম কানুন মেনে চললেই হবে। ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য মূলত জীবনধারার কিছু নিয়মকানুন পরিবর্তন করতে হবে যেগুলো পরিবর্তন করার মাধ্যমে আপনার ত্বক সুন্দর দেখাবে। চলুন জেনে নেই কি করলে বা কোনগুলো অভ্যাস আপনার ত্বকের সঠিক যত্ন এবং ভেতর থেকে ফর্সা করে তুলবে।

আরো পড়ুনঃ মুখের ব্রণের কালো দাগ দূর করার উপায়

পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণঃ পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা আমাদের দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমাদের দেহের জন্য যেমন পুষ্টিকর খাদ্য প্রয়োজনীয় তেমনে আমাদের ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য সকল ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য দরকার। এখানে পুষ্টিকর খাদ্য বলতে ভিটামিন এ যুক্ত খাদ্য, ভিটামিন সি যুক্ত, থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাদ্য এবং প্রোটিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার প্রয়োজন অনেক।

পর্যাপ্ত জল পান করেঃ পর্যাপ্ত জল পান করা আমাদের সুস্থতার আরেকটি চাবিকাঠি। দিনে অন্ততপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করার প্রয়োজন। ডাবের জল এবং গরম জল পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায় এছাড়াও আপনি ফলের রস খেতে পারেন। ফলের রস আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

সুস্বাস্থ্য জীবনধারাঃ ত্বক সুন্দর এবং সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে প্রথমত সুস্বাস্থ্য জীবনধারার অধিকারী হতে হবে এর জন্য আপনাকে কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে। আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্ত চলাচল ভালো থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এছাড়াও পাশাপাশি আপনাকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। নেশা যোগ দ্রব্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

এক রাতে ফর্সা হওয়ার উপায়

এক রাতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় তবে যারা এক রাতে ফর্সা হওয়ার জন্য টোটকা বা ঔষধ খুঁজছেন তাদের বলে রাখি আমাদের ত্বক এক রাতে ফর্সা করার জন্য কোন পরামর্শ বা সেরকম কিছুই খুজে পাবেন না। আমাদের দেহে থাকা মেলানিন এর জন্য ত্বকের রং আলাদা হয়ে থাকে। এক রাতে ফর্সা হওয়ার জন্য কোন প্রকার ক্রিম যদি কেউ বিক্রি করে থাকে তাহলে তাদের থেকে এড়িয়ে চলুন। কারন এক রাতে ফর্সা হওয়ার জন্য কোন প্রকার ক্রিম ইউজ করা যাবে না। তবে আপনি চাইলে কিছু খাদ্য অভ্যাস কিছু প্যাক বানিয়ে নিয়ে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সময় দেয়া দরকার।

তিনদিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

তিনদিনে ফর্সা হওয়ার উপায় কি ? আদেও কি সম্ভব তিনদিনে ফর্সা হওয়া যদি জানতে চান তাহলে আমি বলব একদমই নয়। তিন দিনে ত্বকের রং ফর্সা করা প্রকৃতপক্ষে সম্ভব নয় কারণ আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সময় দেওয়া দরকার। আপনি চাইলেও তিন দিনে ত্বক ফর্সা করতে পারবেন না। আমাদের দেহের প্রাকৃতিক রং বা জিনগত রং পরিবর্তন করতে প্রচুর পরিমাণে সময় দেওয়া দরকার যা ৩ দিনে সম্ভব নয়। তবে আপনি স্বাস্থ্যজ্জ্বল এবং সুন্দর রাখতে চাইলে কিছু টোটকা বা খাদ্য অভ্যাস গ্রহণ করে ফর্সা হওয়ার আভাস পেতে পারেন।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা আরো বিস্তারিত তথ্য আদি জানব। আসলে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য কোন প্রকার দ্রুততার সাথে কোন কিছু ইউজ করা ভালো নয়। এর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং খাদ্য অভ্যাস সহ কিছু অভ্যাস গ্রহণ করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার তাকে সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে খাদ্য অভ্যাস দ্বারা পরিবর্তন করতে পারেন। আপনার শরীরের জন্য স্টেস অনেক খারাপ একটি দিক তেমনি আপনার ত্বকের জন্য স্টেস ভালো নয়। আপনার ত্বককে সর্বদা টনিকস মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। দিনে অন্ততপক্ষে একবার লেবু অথবা পুদিনা যুক্ত জল পান করুন এতে আপনার শরীরের টনিক্স দূর করতে সাহায্য করবে।

স্থায়ী-ফর্সা-হওয়ার-উপায়

পর্যাপ্ত ঘুম পারুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার ত্বকের কোষের সুস্থ এবং সবল রাখতে সহায়তা করবে। ঘরোয়া উপায়ে মধু বা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে অনেক রকম প্যাক তৈরি করে আপনার ত্বকে লাগাতে পারে। এছাড়াও দুধ হলুদের প্যাক আপনার ত্বকের জন্য অনেক ভালো। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং চিনি যুক্ত বা ফ্যাট যুক্ত খাদ্য পরিহার করুন। পাশাপাশি আপনি সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন কারণ সানস্ক্রিন আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভালো।

এক মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়

এক মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে রয়েছে অনেক ধাপ। এক মাসে ফর্সা হওয়া সম্ভব কারণ একমাস মানে ৩০ দিন। আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সময়ের দরকার এজন্য এক মাসে অন্ততপক্ষে আমাদের ত্বকের কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এক মাসের ফর্সা হওয়ার জন্য নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস এবং ঠিকমতো যত্ন নেওয়ারটা খুব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। যদি এক মাসে ফর্সা হতে চান তাহলে কিছু ধাপ মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেই এই সম্পর্কে।

ত্বক পরিষ্কার রাখা

  • ত্বক পরিষ্কার রাখুন এবং নিয়মিত জল দিয়ে পরিষ্কার করুন।
  • ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
  • প্রতি সপ্তাহে আপনার মুখ এর ত্বক স্ক্রাব করুন।
পুষ্টি এবং ফেসপ্যাক

  • পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং প্রোটিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন।
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে ভালো ভিটামিন ই তেল লাগান।
হাইডেশন এবং সানস্ক্রিন

  • বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং বেশি রোদে যাবেন না।
  • পর্যাপ্ত জল পান করুন দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস।
  • শরীরকে ভালো রাখতে ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করুন।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় আসলে কালো থেকে ফর্সা হওয়া জেনেটিক্যালি সম্ভব নয় কারণ ত্বকের রং প্রধানত জিন দ্বারা নির্ধারিত হয়। তবে সঠিক যত্নের মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা এবং মসৃণ স্বাস্থ্যবান ত্বক পাওয়া সম্ভব। সুস্থ এবং সবল রাখতে আমাদের দেহের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগান দেওয়ার প্রয়োজন। এজন্য আমাদের সঠিক মানের খাদ্য অভ্যাস গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যেগুলো খাদ্য তে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন, এ প্রোটিন বা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন এতে করে আপনার শরীর হাইডেটেড থাকবে। আপনার তাকে নিয়মিত যত্ন নিন এতে করে আপনার ত্বক সুন্দর এবং সুস্থ থাকবে সপ্তাহে দু-তিনবার স্ক্রাব করুন। ভালো মানের মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য পোস্টটি ভালো করে পড়ুন তাহলেই আরও বিষয়সমূহ জানতে পারবেন।

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপাযয়ের মধ্যে অনেকগুলো উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহারে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার সম্ভব। চলুন আজকে জেনে নেই ফর্সা করার যতগুলো ঘরোয়া উপায় রয়েছে সে সম্পর্কে। আপনার ত্বক ফর্সা এবং সুন্দর রাখতে চাইলে অবশ্যই কিছু নিরাপদ ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অবলম্বন করতে হবে। এখানে কিছু কার্যকরী এবং ঘরোয়া উপায় দেয়া হলো।

ত্বক-ফর্সা-করার-ঘরোয়া-উপায়

হলুদ এবং দুধের প্যাক

  • দুধ দুই চামচ নিন এবং হলুদ নিন পরিমাণমতো।
  • হলুদ এবং দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিন এরপর ত্বকে লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট রাখার পরে হালকা গরম জল ধুয়ে ফেলুন। 
লেবুর রস এবং টমেটোর রস

  • ২ চামচ টমটোর রস ও ১ চামচ লেবুর রস নিন।
  • টমেটোর রস এবং লেবুর রস একসঙ্গে মেখে মুখে লাগান।
  • ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বেসন ও দুধের প্যাক

  • ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ প্রয়োজন মত নেই।
  • বেসন এবং দুধ ভালো করে মেখে মুখে লাগাতে হবে।
  • এটি মুখে রাখার ২০ মিনিট পর থেকে ফেলতে হবে।
  • তখন নরম এবং সুন্দর রাখতে সহায়তা করে

শেষ কথাঃ শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়

আমাদের ত্বক ফর্সা রাখার জন্য আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। তবে যাদের জন্মের পর থেকে শ্যামলা ত্বক তারা মূলত খুঁজে বেড়াই কিভাবে আমার ত্বক ফর্সা করব। আসলে আমাদের জিনগত ভাবেই ত্বকের রং নির্ধারিত হয়ে থাকে। খুব বেশি ফর্সা করা এর জন্য সম্ভব নয় তবে ত্বককে সুন্দর এবং উজ্জ্বল রাখতে চাইলে এই পোস্টটি আপনার কাজে দিবে। এতক্ষন আমার সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আরো সকল তথ্য পেতে কিউট ফাইবারের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউট ফাইবারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url