মুখে দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়

মুখে দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় একটি ভালো মাধ্যম। আপনার মুখে দাড়ি না থাকলে আপনাকে দেখতে কেমন লাগে। আপনার দাড়ি গজানোর বয়স পার হয়ে গেলেও দাড়ি গজাচ্ছে না। কেন গজায় না দাড়ি কি কারনে। আজকে মুখে দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় বিষয়ে জানব।

মুখে-দাড়ি-গজানোর-প্রাকৃতিক-উপায়

দাড়ি না গজানোর অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে সেই কারণগুলো আপনার জানতে হবে। আর যদি এগুলো কারণ না থেকেও আপনার দাড়ি বেরোচ্ছে না তাহলে আপনার জন্য কিছু মুখের দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় জানা দরকার। চলুন মুখে দাড়ি গজানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিই।

পেজ সূচিপত্রঃমুখে দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়


মুখে দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়

মুখে দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি মুখের যত্ন বা আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়াটাও ততটা কর্তব্য। ঠিকমত মুখের যত্ন নিলে আপনার দাড়ি গজাবেই। এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে অনেক উপায়ে আপনার ত্বকের এবং আপনার মুখের সঠিক যত্ন নিতে পারেন এর জন্য অতিরিক্ত টাকাও খরচ করতে হবে না। অনেক ঔষধ আছে যেমন Minoxidil আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন মুখে দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

আরো পড়ুনঃকাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার গুনাগুন

১: ত্বকের যত্ন রাখা

  • মুখ পরিষ্কার রাখাঃ মুখে দাড়ি গজানোর জন্য অবশ্যই আপনার ত্বকের যত্ন রাখাটা প্রয়োজনীয়। ত্বক পরিষ্কার থাকলে মৃত কোষ গুলো দূর হয়। নতুন লোম বেড়ে ওঠার জন্য ত্বক পরিষ্কার রাখুন।
  • স্ক্রাব করাঃ নিয়মিত স্ক্রাব করলে লোম কোষের ময়লা পরিষ্কার হয় এবং নতুন লোম গজাতে সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে ২- ৩ বার স্ক্রাব করুন।

  • ত্বকের যত্নে মশ্চারাইজারঃ প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় এমন কিছু মশ্চারাইজার তেল যেমন নারিকেল তেল এবং  জোজেবা তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও বাজারে পাওয়া যায় এমন মশ্চারাইজার যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

২: প্রাকৃতিক উপায়

  • পেঁয়াজের রসঃ দাড়ি গজানোর উপায়ের মধ্যে একটি মুখে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা। পিঁয়াজের রসে থাকে সালফার যা আপনার লোম গজাতে বিশেষ সাহায্য করে। দাড়ির ঘনত্ব ফিরিয়ে আনে পিঁয়াজের রস।
  • নিয়মিত মুখ ধোয়াঃ আপনার দাড়ি সঠিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। দিনে অন্ততপক্ষে ৫- ৭ বার মুখের ত্বক পরিষ্কার জল দিয়ে ধুতে হবে । নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখলে প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার দাড়ি গজাবে।
  • আমলকির তেল এবং নারিকেল তেলঃ আমলকির তেল এবং নারিকেল তেল আপনার ত্বকের ময়শ্চারাইজার ফিরিয়ে আনে যার জন্য আপনার ত্বকের লোমকূপে থাকা ময়লা গুলো সহ ত্বকে পরিষ্কার রাখে। নিয়মিত আমলকির তেল ব্যবহারে লোমকূপ সক্রিয় থাকে।

৩: নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ

  • প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন-মাছ ,মাংস, ডিম, ডাল এগুলো খাদ্য নিয়মিত গ্রহণে আপনার দাড়ি গজানোর জন্য কার্যকরী উপাদান। আপনার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিন যুক্ত খাবার যোগ করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়াঃ মুখে দাড়ি গজানোর জন্য আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকাটা প্রয়োজন।তাই নিয়মিত আপনি জল পান করলে আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণের হাইড্রেটেড রাখা সম্ভব যা আপনার দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে।
  • মিনারেল ও ভিটামিনঃ মিনারেল ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার গুলো গ্রহণের মাধ্যমে আপনার দাড়ি গজায় জিংক, আইরন ,ভিটামিন বি ১২ তে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও ভিটামিন থাকে। এগুলো খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনার দাড়ি গজায়।

সেভ করলে কি দাড়ি গজায়

সেভ করলে কি দাড়ি গজায় ? অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে সেভ করলে কি দাড়ি গজায় নাকি দাড়ির ঘনত্ব বাড়ে। আসলে মুখে দাড়ি গজানোর জন্য বারবার সেভ করলেই হবে এমনটি নয়। আমরা মূলত সবাই মনে করে থাকি মাথা যেমন ন্যাড়া করলেচুলের ঘনত্ব বাড়ে তেমনি মনে হয় সেভ করলে দাড়ি গজায় আসলে এই বিষয়টি একদম ভুল। মূলত সেভ করলে দাড়ি গজাবে এমন কোন বৈজ্ঞানিক ধারণা পাওয়া যায়নি। তাই বলা যায় সেভ করলে দাড়ি গজাবে এমন ধারণাটি একদম ঠিক নয়। তাই এবার থেকে নিয়মিত সেভ নয় নিয়মিত যত্ন নিন আপনার ত্বকের।

দাড়ি গজানোর তেলের নাম

দাড়ি গজানোর তেলের নাম কি? বর্তমানে বাজারে দাঁড়ি গজানোর অনেক প্রোডাক্ট পাওয়া যাচ্ছে যার ভালোর দিকটি কম সাইড ইফেক্ট বেশি। দাড়ি গজানোর তেল প্রাকৃতিকভাবে নারিকেল তেল ভালো। নারিকেল তেল আমাদের মুখের ত্বকের ময়শ্চারাইজার ফিরিয়ে আনে যার জন্য নারকেল তেল আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভালো। এছাড়াও আমাদের ত্বকের যত্নের জন্য বা দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে অলিভ অয়েল। আমলকির তেল আমাদের মুখের দাড়ি গজাতে অনেক সহায়তা করে তাই আপনি আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃহাত পায়ের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

শুধু কি তাই জোজবা ওয়েল আপনার দাড়ি গজাতে প্রাকৃতিক ভাবে কার্যকরী এক সমাধান। আর্গ্যান অয়েল ব্যবহারে আপনার মুখের দাড়ি ঘন এবং সৌন্দর্যপূর্ণ করা সম্ভব। মূলত এগুলো তেল আমাদের দেশে পাওয়া যায়। তেলগুলো ক্রয় করতে কসমেটিকসের দোকানে যোগাযোগ করতে পারেন। নিয়মিত দাড়ি গজানোর তেল ব্যবহারে আপনার দাড়ি সুন্দর এবং ঘন করে তুলবে তাই নিয়মিত আপনার মুখে দাড়ি গজানোর তেল ব্যবহার করতে পারেন।

চাপ দাড়ি গজানোর উপায় কি

চাপ দাড়ি গজানোর উপায় কি? এখনকার দিনে সকল পুরুষ মানুষই চায় আমার মুখে গাল ভর্তি দাড়ি থাকুক। কিছু কিছু ছেলের ক্ষেত্রে স্বপ্নটা স্বপ্নই হয়ে থাকে। কিন্তু সঠিক যত্নে আপনার গাল ভর্তি চাপ দাড়ি গজানো সম্ভব। এর জন্য অবলম্বন করতে হবে কিছু ঘরোয়া এবং কিছু প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ যা আপনার দাড়ি গজানোর সহায়তা করবে। আমাদের ত্বকে প্রচুর পরিমাণে ময়লা থাকে এর জন্য আমাদের মুখের ত্বকের যত্ন আবশ্যক।

চাপ-দাড়ি-গজানোর-উপায়

প্রথমেই আপনাকে বেশি বেশি করে জল পান করতে হবে। আমাদের শরীর হাইড্রেট থাকাটা অনেক জরুরী। এটা একমাত্র বেশি বেশি জলপান করার মাধ্যমে সম্ভব তাই আপনার দাড়ি গজানোর জন্য দিনে বেশি বেশি করে জল পান করুন।নিয়মিত স্ক্রাব করলে আমাদের ত্বকের যে ময়লা গুলো থাকে বা মৃত লোম কোষ গুলো থাকে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে নতুন লোম কোশের জন্ম হয়। এজন্য প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার স্ক্রাব করুন।

আপনার শরীর সবসময় স্ট্রেস মুক্ত রাখুন এটা আপনার দাড়ি গজানোর জন্য কার্যকর। রক্ত চলাচল বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ঘুম পাড়াটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তেমনি আমাদের দাড়ি গজানোর জন্য ঘুম পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার ঠিকমতো ঘুম হওয়া টা অনেক প্রয়োজনীয় । পিঁয়াজের রস ব্যবহারে আপনার মুখের চাপ দাড়ি গজানোর জন্য সহায়তা করে এবং ঘনত্ব বাড়ে। তবে দাড়ি গজানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে অবলম্বন করতে পারেন।

দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ

দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ গুলো বিষয়ে অনেকেরই ধারণা আছে আবার অনেকের নেই। আজকে আপনাদের এমন কয়েকটি ঔষধ সম্পর্কে ধারণা দেব। সাধারণত ফার্মেসিতে কিনতে পাওয়া যায় Minoxidil নামে ঔষধ যা আপনার ত্বকে ব্যবহারে নিশ্চিত কার্যকরী সুফল দিবে। নিচে কিছু Minoxidil নাম দেওয়া হল।

  • Xenogrow (minoxidil) (price৳500-600)  Incepta pharmaccuticals ltd
  • Splendora  (minoxidil) (price৳500-600) square pharmaccuticals ltd
  • Trugain  (minoxidil) (price৳450-550) ziska pharmaccuticals ltd

এছাড়াও বাজারে আরো কোম্পানির Minoxidil পাওয়া যায়। Minoxidil নামের স্প্রে ও পাওয়া যায় যা আপনার মুখে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘরে পদ্ধতিতেও মুখে দাড়ি গজানো যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে মুখে দাড়ি গজানো কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট দেখা দেয় না যার জন্য প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করাটা প্রয়োজনীয়।

দাড়ি না গজানোর কারণ

দাড়ি না গজানোর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে বংশগত ভাবে ওঠার। অনেকেই বলে বংশে যদি থাকে তবে দাড়ি উঠবে আর বংশ যদি না থাকে তাহলে উঠবে না। আসলে এ ধারণাটা অনেকটা ঠিক হলেও অনেক ক্ষেত্রে ভুল কারণঅনেক কারণেই আপনার মুখে দাড়ি নাও গজাতে পারে। ছেলেদের মুখে দাড়ি আর মেয়েদের মুখে দাড়ি না থাকাটা মূলত যৌন হরমোন উপস্থিতি না থাকা।
দাড়ি-না-গজানোর-কারণ
যৌন হরমোন এন্ড্রোজেন আপনার শরীর যদি কম থাকে বা বেশি থাকে তাহলে আপনার চুল পড়াটাও এর দ্বারাই সম্ভব চুল ওঠাটাও এর দ্বারা সম্ভব। এর জন্যআপনার দাড়ি নাও গজাতে পারে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ এটা কোন বড় ধরনের রোগ নয়। এই হরমোনের জন্য অনেক সময় অস্বাভাবিক স্থানে লোম গজায়।

সর্বশেষ কথা 

প্রত্যেক পুরুষ মানুষেরই সখ হিসেবে তার মুখ ভর্তি গালে দাড়ি থাকবে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি মুখে দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে একজন পুরুষ তার দাড়ি ঘনত্ব এবং দাঁড়ি বার করতে সক্ষম হবে। প্রত্যেকেরই দরকার নিজের মুখের ত্বকের যত্ন নেওয়া ঠিক মত যত্ন নিতে পারলে আপনিও একদিন গাল ভর্তি দাড়ির মালিক হবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউট ফাইবারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url