মুখের ব্রণের কালো দাগ দূর করার উপায়

মুখের কালো দাগ বা ব্রণ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। বুঝতে পারছেন না কিভাবে ব্রণ দূর করবেন।ব্রণ দূর  হলেও কালো দাগ দূর হচ্ছে না।কেন এত ব্রণ বের হচ্ছে আপনার মুখে। সব বিষয়ে আজ জানব। আমাদের মুখে কেন ব্রণ বাসা বাঁধে।

মুখের-ব্রণের-কালো-দাগ-দূর-করার-উপায়

ব্রণ হওয়ার কারণটি আসলেই সময়ের না আপনার সঠিক যত্ন না নেওয়ার জন্য। কি কি খেলে বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করবেন আজ এ বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন ব্রণ বিষয়ে সঠিক ধারণাটা নিয়ে ব্রণ রোধ করি।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়


ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রতিদিন বাহিরে বের হলেই আমাদের ত্বকে ধুলা, বালি, কালো ধোঁয়া ইত্যাদির সম্মুখীন হয়। এতে করে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বকের মধ্যে জীবাণুর সৃষ্টি হয়। সাধারণত আমাদের ত্বকের মধ্যে তৈলাক্ত ভাব জমায় যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পুজ জমতে শুরু হয়। আর তোকে পূজ জমা শুরু হলে ব্রণের সৃষ্টি হয়।

টিনেজার হিসেবে মেয়েরা ব্রণের দাগ নিয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। ব্রণ হতে পারে আপনার বাহিরের কসমেটিক্স বা লোকাল কসমেটিক্স ব্যবহার করে। বাজারের কসমেটিক্স ব্যবহার না করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করা যায়। চলুন আজ কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার কার্যকরী সম্পর্কে জানব।

শসার রসঃশসা রস দূর করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে আমরা শসার রস খেয়ে ব্রণের ওষুধ হিসেবে কাজে লাগাতে পারি। প্রতিদিন আপনি অবসর সময়ে শসার রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বকে করবে সুন্দর এবং উজ্জ্বল। ত্বকের জীবাণুকে নষ্ট করতে শসার রস কার্যকরী ক্ষমতা গুণসম্পন্ন। এছাড়াও ত্বকের ওপেন পেসার থেকে মুক্তি পেতে শসার রস খুবই কার্যকারিতা ভূমিকা পালন করে।

চন্দন কাঠের গুড়ো ও কাঁচা হলুদঃচন্দন কাঠের গুঁড়ো ও কাঁচা হলুদ ব্রোনের জন্য অনেক কার্যকরী ফর্মুলা বা উপাদান বলতে পারেন। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি ব্রণ নির্মূল করতে চান তাহলে চন্দন কাঠের গুড়ো ও কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণ মতো আপনার যতটুকু লাগবে ততটুকু কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো নিয়ে জল দিয়ে ভাল করে পেস্ট করে আপনার মুখ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে পারেন।এতে আপনার ব্রণ নির্মূল হবে সাথে কালো দাগ থাকলে তাও নির্মূল করতে সাহায্য করবে।

তুলসী পাতার রসঃতুলসী পাতার রস যেমন কাশ হলে উপকারী তেমনি ব্রণের জন্য খুব উপকারী। তুলসী পাতায় আছে, আয়ুর্বেদিক অনেক গুনাগুন। তুলসী পাতার রস সরাসরি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনি প্রতিদিন নিয়মিত লাগাতে খুব সহজ হয়। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই হালকা কুসুম গরম জল দিয়ে ধুতে হবে।

ডিমের সাদা অংশঃডিমের সাদা অংশ রাতে বা অবসর সময় মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় রাতে রেখে ঘুমানো। এতে আপনার ত্বকের ঘস ঘষে ভাব দূর করে। তক সুন্দর এবং মসৃণ করে ব্রণ হতে নির্মূল করতে সাহায্য করে।

আপেল এবং মধুর মিশ্রণঃ আপেল এবং মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করে আপনার ত্বক সুন্দর এবং কালো দাগ দূর করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমেই আপেল নিতে হবে। আপেলটি ভালো করে পেস্ট করে নিন ।এরপরে কয়েক ফোটা মধু আপেল মিশ্রণে ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বক সুন্দর এবং মসৃণ দেখাবে।

 আরো পড়ুনঃমেয়েদের মাথার চুল পড়া রোধে করণীয়

৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়

সাধারণত ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত এই সময়টিতে ব্রণ বেশি হয়। কম বয়সীদের হতে পারে বয়সন্ধের কারণে অথবা মানসিক চাপের জন্য। ব্রণ হওয়ার অন্যতম একটি মানসিক চাপ। আপনার ত্বকে যত স্ট্রেস পড়বে তত ব্রণের দেখা দেবে। উপরোক্ত প্রাকৃতিক উপায়ে বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রন নির্মূল করার কৌশল গুলো অবলম্বন করতে পারেন।

এতে করে আপনার ব্রণ নির্মূল হতে হবে। আপনি চাইলে ব্রণ কে কয়েকদিনের মধ্যেই সঠিক ত্বকের যত্নের মাধ্যমে নির্মূল করতে পারেন।  ঠিক মত কৌশল অবলম্বন করার মাধ্যমে ব্রণ দূর হয়। কম বয়সীদের ক্ষেত্রে বয়সন্ধিকাল ব্রণের জন্য বেশি দায়ী। তবে এটা একা একাই নির্মূল হয়ে যায়। তাই যাদের কম বয়স তাদের ব্রণ বিষয়ে অতটা ভয়ের কিছু নয়।

মুখের দাগ দূর করার ক্রিম

মুখের কালো দাগ দূর করা ক্রিম হিসেবে আপনি স্কিন সাইন ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া ভাবে উপরে উল্লেখিত নিয়মে আপনি খুব সহজেই মুখের ব্রণের কালো দাগ দূর করতে পারেন। মুখের কালো দাগ দূর করতে চাইলে ভারী কসমেটিক্স বা ভারি ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। আপনি ক্রিম হিসাবে এটা ব্যবহার করলে আশা করা যাচ্ছে ব্রণের কালো দাগ দূর হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম

মুখের-ব্রণের-কালো-দাগ-দূর-করার-উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম হিসেবে বাজারে অনেক ধরনের প্রোডাক্টস বিক্রি হয়ে থাকে। এর মধ্যে ফোনা জেল ক্রিমটি আপনার ব্রণ দূর করার জন্য ব্যবহারযোগ্য। এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হলে আপনার অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে। বা ১৮ বছরের উপরে হতে হবে। এছাড়া আপনি ব্রণের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন । এছাড়াও আপনি নোভা ক্লিয়ার একনি ক্রিম , নোভা ক্লিয়ার একনি ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন।

ব্রণের দাগ বা গর্ত দূর করার উপায়

ব্রণের গর্ত বা দূর করার জন্য ভিটামিন ই তেল সেরা এবং খুব কার্যকরী। আপনার যদি ত্বকে ব্রণের দাগ হয়ে থাকে তবে ভিটামিন ই তেল ব্যবহার করতে পারেন। বলতে গেলে সবচেয়ে সহজ হিসেবে কাজ করে ভিটামিন ই তেল। সবচেয়ে ভালো সমাধানও ভিটামিন ই তেল। ব্রণ নির্মল করতে প্রতিদিন অল্প পরিমাণের ভিটামিন ই তেল আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারে।

ভিটামিন ই তেল ব্যবহারে ত্বক সুন্দর এবং দাগ গর্ত হীন উজ্জ্বল রূপ দেয়।যা প্রাকৃতিকভাবে খুব কার্যকরী তাই আপনার ত্বকে অল্প পরিমাণ ভিটামিন ই তেল ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন ই তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার না করাটাই ভালো।

ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে অতিরিক্ত কিছু টিপস

মুখের-ব্রণের-কালো-দাগ-দূর-করার-উপায়
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। তেল যুক্ত বা ফাস্টফুড খাওয়া যাবেনা। বেশি বেশি মৌসুমী ফল মূল খান এতে আপনার ত্বক সুন্দর থাকবে। প্রতিদিন দিনে পাঁচ থেকে আট বার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া বাহিরে থেকে আসবার পরে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। 

বেশি মেকআপ বা ভারী মেকআপ করা থেকে বিরত থাকুন। নক দিয়ে ব্রণ গালবেন না এতে আপনার ত্বকে জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে। আমরা বেশিরভাগই সময় অনেকেই নখ দিয়ে ব্রণ গেলে থাকি। যেটা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক খারাপ বদভ্যাস। এগুলো মানলে আপনার ব্রণ ত্বকে আসতে পারবে না।

সতর্কতা অবলম্বন

আমরা আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম অথবা জেল ব্যবহার করে থাকি। এখনকার দিনে কম্পিটিশন হিসেবে কাজ করছে কসমেটিক্স। তাই আপনি আপনার ত্বকে যে ক্রিমটা ব্যবহার করছেন সেই ক্রিম বিষয়ে সঠিক ধারণাটি রাখুন। অতিরিক্ত ত্বকে জেল বা ক্রিম ব্যবহার না করাটাই ভালো। বাজারে খোলা বা নকল প্রোডাক্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

শেষ কথা

পরিশেষে বলে রাখি আপনার আমাদের ত্বক খুব পাতলা এবং নরম হয়ে থাকে। যার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণের কিছুই আমাদের ত্বক সহ্য করতে পারে না। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ত্বককে প্রেসার ক্রিয়েট করবেন না। বাহিরে থেকে আসার মাত্রই মুখ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার ব্রণ এবং ব্রণের কালো দাগ দূর করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার ত্বক সুন্দর এবং সুস্থ থাকবে। আমার মতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিলে ত্বক সুন্দর এবং সুস্থ থাকে। আমাদের ত্বক একটি অমূল্য সম্পদ তাই ত্বকের যত্ন নিতে শিখুন। আরো সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।


আরো সব তথ্য পেতে  কিউট ফাইবারের  সঙ্গে থাকুন!😍


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউট ফাইবারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url